Menu

ধাঁধাঁ মজা রহস্য

₹100
Peculiar Puzzles

ধাঁধাঁ মজা রহস্য

Product details

অমিতাভ প্রামাণিক ও ইন্দ্রশেখর সম্পাদিত ধাঁধাঁ ও ব্রেন টিজার সংগ্রহ

 পেপারব্যাক

পকেটবুক

 ১১২ পাতা

জয়ঢাক প্রকাশন

আমাদের ছোটবেলায় ধাঁধাঁ ছিল খুব জনপ্রিয় একটা খেলা। কাউকে ঠকানোর জন্যেই হোক বা কারও বুদ্ধির বা চিন্তাভাবনার দৌড় পরখ করতেই হোক, আমরা বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে হামেশাই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতাম, বলতো, 'রাজবাড়ির রাজহাঁস, খায় খোলা তার ফেলে শাঁস' কী জিনিস? যদি কেউ বলতে না পারত, তার পেছনে পড়ে যেতাম আমরা – এ মা, এটাও জানিস না, এ তো চালতা রে। আচ্ছা, এটা বল দেখি – 'শুঁড় দিয়ে কাজ করি, নই আমি হাতি / দিনরাত খেটে মরি, তবু খাই লাথি' কী? এটাও বলতে না পারলে সে যে নির্বোধ, তাকে আর স্মরণ করিয়ে দিতে লাগত না। সে নিজেই একে ওকে জিজ্ঞেস করেই হোক, বা কারও কাছ থেকে পুরনো ধাঁধাঁর বই সংগ্রহ করেই হোক, উত্তর বের করতে লেগে পড়ত। দুদিন পরে কলার উঁচু করে আমাদের এসে বলত, আরে যা যা, আমি কি জানি না নাকি? ইচ্ছে করে বলিনি সেদিন। এটা তো ঢেঁকি!

অন্যান্য খেলাধুলোর সঙ্গে এগুলোই ছিল আমাদের ছোটবেলার আনন্দ। আনন্দ-উপকরণের নানান জিনিস আমাদের নাগালের মধ্যে আসতে শুরু করল এর পর থেকে। টেলিভিশন, হাজারটা চ্যানেল, কম্পিউটার, ভিডিও গেম, ইন্টারনেট। ধাঁধাঁ জিনিসটা তার সেই পরিচর্যা, সেই আভিজাত্য, সেই কৌলীন্য হারিয়ে ফেলল তখন থেকে। বইয়ের দোকানে ধাঁধাঁর বই খুঁজতে গেলে পাওয়া যায় কি এখন?

অথচ ধাঁধাঁ নিয়ে ভেবেছিলেন সমস্ত প্রথিতযশা সাহিত্যিকই। রবীন্দ্রনাথের গল্পে -'পায়ে ধরে সাধা / রা নাহি দেয় রাধা / শেষে দিল রা / পাগোল ছাড়ো পা' এক ধুরন্ধর ধাঁধাঁ, যার উত্তর এক গ্রামের নাম ধারাগোল।

সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদার গল্পে 'রক্তবরণ মুগ্ধকরণ / নদীপাশে যাহা বিঁধিলে মরণ' মানে লালমোহন গাঙ্গুলি। ফেলুদা অর্থাৎ প্রদোষচন্দ্র মিত্রকেও তিনি 'সন্ধ্যাশশী বন্ধু' বানিয়েছিলেন। সন্দেশ পত্রিকার ধাঁধাঁর পাতা সেজে উঠত সত্যজিতের অসামান্য সৃজনীতে।

দেবজ্যোতিও বহু বছর ধরে ওর সম্পাদনায় শিশু-কিশোরদের ওয়েব পত্রিকা জয়ঢাকের ধাঁধাঁর পাতা সাজিয়ে চলেছে অক্লান্তভাবে। তাতে যেমন আছে লোক-ঠকানো ধাঁধাঁ, তেমনই বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্নের ধাঁধাঁ, অঙ্কের ধাঁধাঁ, ছবির ধাঁধাঁ, শব্দের ধাঁধাঁ। তা থেকেই একগুচ্ছ তুলে সাজিয়ে দেওয়া হল এই বইতে। অন্তত এখন কেউ বলতে পারবে না, বাজারে ধাঁধাঁর নতুন কোন বই নেই।

Product details

অমিতাভ প্রামাণিক ও ইন্দ্রশেখর সম্পাদিত ধাঁধাঁ ও ব্রেন টিজার সংগ্রহ

 পেপারব্যাক

পকেটবুক

 ১১২ পাতা

জয়ঢাক প্রকাশন

আমাদের ছোটবেলায় ধাঁধাঁ ছিল খুব জনপ্রিয় একটা খেলা। কাউকে ঠকানোর জন্যেই হোক বা কারও বুদ্ধির বা চিন্তাভাবনার দৌড় পরখ করতেই হোক, আমরা বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে হামেশাই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতাম, বলতো, 'রাজবাড়ির রাজহাঁস, খায় খোলা তার ফেলে শাঁস' কী জিনিস? যদি কেউ বলতে না পারত, তার পেছনে পড়ে যেতাম আমরা – এ মা, এটাও জানিস না, এ তো চালতা রে। আচ্ছা, এটা বল দেখি – 'শুঁড় দিয়ে কাজ করি, নই আমি হাতি / দিনরাত খেটে মরি, তবু খাই লাথি' কী? এটাও বলতে না পারলে সে যে নির্বোধ, তাকে আর স্মরণ করিয়ে দিতে লাগত না। সে নিজেই একে ওকে জিজ্ঞেস করেই হোক, বা কারও কাছ থেকে পুরনো ধাঁধাঁর বই সংগ্রহ করেই হোক, উত্তর বের করতে লেগে পড়ত। দুদিন পরে কলার উঁচু করে আমাদের এসে বলত, আরে যা যা, আমি কি জানি না নাকি? ইচ্ছে করে বলিনি সেদিন। এটা তো ঢেঁকি!

অন্যান্য খেলাধুলোর সঙ্গে এগুলোই ছিল আমাদের ছোটবেলার আনন্দ। আনন্দ-উপকরণের নানান জিনিস আমাদের নাগালের মধ্যে আসতে শুরু করল এর পর থেকে। টেলিভিশন, হাজারটা চ্যানেল, কম্পিউটার, ভিডিও গেম, ইন্টারনেট। ধাঁধাঁ জিনিসটা তার সেই পরিচর্যা, সেই আভিজাত্য, সেই কৌলীন্য হারিয়ে ফেলল তখন থেকে। বইয়ের দোকানে ধাঁধাঁর বই খুঁজতে গেলে পাওয়া যায় কি এখন?

অথচ ধাঁধাঁ নিয়ে ভেবেছিলেন সমস্ত প্রথিতযশা সাহিত্যিকই। রবীন্দ্রনাথের গল্পে -'পায়ে ধরে সাধা / রা নাহি দেয় রাধা / শেষে দিল রা / পাগোল ছাড়ো পা' এক ধুরন্ধর ধাঁধাঁ, যার উত্তর এক গ্রামের নাম ধারাগোল।

সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদার গল্পে 'রক্তবরণ মুগ্ধকরণ / নদীপাশে যাহা বিঁধিলে মরণ' মানে লালমোহন গাঙ্গুলি। ফেলুদা অর্থাৎ প্রদোষচন্দ্র মিত্রকেও তিনি 'সন্ধ্যাশশী বন্ধু' বানিয়েছিলেন। সন্দেশ পত্রিকার ধাঁধাঁর পাতা সেজে উঠত সত্যজিতের অসামান্য সৃজনীতে।

দেবজ্যোতিও বহু বছর ধরে ওর সম্পাদনায় শিশু-কিশোরদের ওয়েব পত্রিকা জয়ঢাকের ধাঁধাঁর পাতা সাজিয়ে চলেছে অক্লান্তভাবে। তাতে যেমন আছে লোক-ঠকানো ধাঁধাঁ, তেমনই বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্নের ধাঁধাঁ, অঙ্কের ধাঁধাঁ, ছবির ধাঁধাঁ, শব্দের ধাঁধাঁ। তা থেকেই একগুচ্ছ তুলে সাজিয়ে দেওয়া হল এই বইতে। অন্তত এখন কেউ বলতে পারবে না, বাজারে ধাঁধাঁর নতুন কোন বই নেই।

You might like these