ভূপতি চক্রবর্তী

হার্ড কভার

১২৮ পাতা

পশ্চিমবঙ্গ গণিত পরিষৎ, গোবরডাঙা

একেবারে ছোটবেলা থেকে আমাদের ভাষা শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় গণিতের শিক্ষা। চারদিকের জগতের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার ক্ষেত্রে ভাষা আর মৌলিক গণিতের শিক্ষা সকলের জন্য বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করে। গণিতের সাহায্যেই গুণগত বিবৃতি থেকে পরিমাণগত ধারণার জগতে উত্তরণ সম্ভব হয় এবং সেই জ্ঞানের ওপরে নির্ভর করে শুরু হয় জীবনের পথচলা।

আজ বিজ্ঞানের যে বহু শাখা ও ক্ষেত্র সম্পর্কে আমরা শুনি তার একটি বৃহৎ অংশ গণিতের ওপরে নির্ভর করে বিকশিত হয়েছে। গণিতভিত্তিক জ্ঞানচর্চার নানা নতুন শাখা উঠে আসছে এমনকি সমাজ-বিজ্ঞান হিসেবে চিহ্নিত বহু বিষয়েও গণিতের কিছু বিশেষ জ্ঞানের প্রয়োগ ক্রমাগত অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। সুতরাং গণিত বিষয়ে একেবারে উদাসীন থাকা শক্ত হয়ে পড়ছে।

এই বইটিতে সঙ্কলিত একুশটি নিবন্ধ বিভিন্ন সময়ে লেখা হয়েছে মূলত রোজকার জীবনে গণিতের এই প্রয়োজনীয় চরিত্রের কথা মাথায় রেখে। এখানে খুব শক্ত কোন গণিতের কথা বলা হয়নি, নিয়ে আসা হয়নি কোন গাণিতিক সমীকরণ বা জটিল গণনা। আর তাই এই গণিত সকলের পথচলার সাথী।

লেখক পরিচিতি:

ড. ভূপতি চক্রবর্তী অধ্যাপনা করেছেন প্রথমে চাকদহ কলেজ ও তারপর সিটি কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগে। দুটি কলেজেই তিনি পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধানের দায়িত্বভার বহন করেছেন। আমাদের দেশের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক, গবেষক, বিজ্ঞানী, অধ্যাপকদের সব থেকে বড় বিষয়ভিত্তিক সংগঠন, ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশান অফ ফিজিক্স টিচার্স-এর তিনি একজন সক্রিয় সদস্য এবং 2013 থেকে 2018 সাল পর্যন্ত এই সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

সাধারণ পাঠকের জন্য ড. ভূপতি চক্রবর্তী বিজ্ঞান বিষয়ে দীর্ঘদিন লেখালেখি করছেন, বাংলায় এবং ইংরাজিতে। পদার্থবিদ্যা, পরিবেশ, হাতে-কলমে বিজ্ঞান-শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সমাজ প্রভৃতি বিষয়গুলির সঙ্গে সঙ্গে গণিতকে তিনি নিয়ে এসেছেন তাঁর লেখায়। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তার লেখা নিবন্ধের সংখ্যা সাড়ে তিনশ'র বেশি। ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের অধীনস্থ সংস্থা 'বিজ্ঞান প্রসার' থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর দুটি বই, যার একটি গণিত বিষয়ক (পিথাগোরীয় ত্রয়ীঃ একটি পরিক্রমা)।

2021 সালে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ তাঁকে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা, প্রচার, ও প্রসারে সার্বিক অবদানের জন্য 'জ্ঞান ও বিজ্ঞান পুরস্কার' অর্পণ করেছে।