বিজ্ঞান, বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানচেতনা
Product details
ড. পরিতোষ ভট্টাচার্য
হার্ডকভার
২৭৬ পাতা
গোবরডাঙা গাবেসণা পরিষৎ
বিজ্ঞান, বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানচেতনা বইটিতে বিজ্ঞানের নানা প্রসঙ্গ নানা ভাবে আলোচিত হয়েছে। শুরুতেই স্মরণ করা হয়েছে সেইসব বিজ্ঞানীদের যাঁদের অবদান ভারতীয় বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এই সমস্ত স্মরণীয় বিজ্ঞানীদের মধ্যে বাঙালি বিজ্ঞানীরা নানা গবেষণার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পরিমণ্ডলে ক্রমাগত স্বীকৃতি পেয়ে চলেছেন। আলোচ্য গ্রন্থটির বিশেষত্ব হলো এই যে, এই প্রথম একসঙ্গে দু-ডজন (২৪) বাঙালি মৃত্তিকা বিজ্ঞানীর কথা বিশেষ গুরুত্ব নিয়ে বলা হয়েছে, যা আগে কখনো কোথাও হয় নি।
আমরা অনেকেই জানি না যে হাতঘড়ি, জলের ক্যান, টিস্যু পেপার, ব্লাড ব্যাংক ইত্যাদি প্রাত্যহিক প্রয়োজনীয় জিনিস প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন শুধুমাত্র যুদ্ধের প্রয়োজনে আবিষ্কৃত হয়েছে। বর্তমান গ্রন্থটিতে এইসব বিষয় প্রসঙ্গে বিশদ বিবরণ পাওয়া যাবে। এছাড়া যুদ্ধ, অস্ত্র ও পরমাণু বিস্ফোরণের বিশেষ বিশেষ রাজনৈতিক এবং বৈজ্ঞানিক প্রেক্ষাপট নিয়ে যে আখ্যান শোনানো হয়েছে, তা খুবই রোমাঞ্চকর। এই অনুষঙ্গে বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইন, এনরিকো ফের্মি, হেবার ও অন্যান্য বিশিষ্ট বিজ্ঞানীদের প্রসঙ্গ স্বাভাবিকভাবেই এসেছে।
হেবারের শেষ জীবন খুবই দুঃখের। বিজ্ঞানের এই বিশিষ্ট গ্রন্থে লেখক বিজ্ঞান চেতনা নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের অবতারণা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে কুসংস্কার নিয়ে আলোচনা, জন্ম-মৃত্যু নিয়ে দোলাচল পরিস্থিতি, ভ্যাকসিনেশন ও অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দু, বিজ্ঞানে জোচ্চুরি ও নৈতিকতা, প্রতিনিয়ত রাসায়নিক বিষযুক্ত ভেজাল খাবার খাওয়ার কু প্রভাব ইত্যাদি। গ্রন্থটির শেষে লেখক কীভাবে একজন বিজ্ঞান কর্মী হয়ে উঠেছিলেন, তার আন্তরিক প্রতিবেদন সহজ ভাষায় উপস্থাপনা করেছেন।
লেখক পরিছিতি
ড. পরিতোষ ভট্টাচার্য কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-এর সাম্মানিক (রসায়ন) স্নাতক এবং কৃষি রসায়নে (মৃত্তিকা জীবাণুবিজ্ঞান) স্নাতকোত্তর, তথা পিএইচ. ডি.। জীবন শুরু শিক্ষকতার আঙিনায়। সত্তর দশকের শেষে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরে অবস্থিত রাজ্য সরকারের Pulses and Oilseeds Research Station-এ রিসার্চ অফিসার (মাইক্রোবায়োলজি)-র দায়িত্ব নিয়ে কাজে যোগ দেন এবং পরে কর্মসূত্রে ভারত সরকারের কৃষি বিভাগে কাজ করেছেন এবং কৃষি মন্ত্রনালয়ের অধীনে 'ন্যাশনাল সেন্টার অফ অর্গানিক ফার্মিং'-এর প্রতিষ্ঠাতা নির্দেশক। এছাড়াও কৃষি ভবন, নিউ দিল্লিতে অ্যাডিশনাল কমিশনার (আই এন এম)-এর দায়িত্ব বহন করেছেন। একই সঙ্গে তিনি FAO Project on Organic Farming-এর ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর ছিলেন এবং অবসরের পর অ্যামিটি ইউনিভার্সিটি, নয়ডা (উত্তরপ্রদেশ)-তে অধ্যাপনা ও গবেষণায় যুক্ত হন। ইন্দিরা গান্ধী ওপেন ইউনিভার্সিটি জৈব কৃষি কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করেন।
এছাড়া DBT, DST, FAI, APEDA বিভিন্ন কমিটির সদস্য ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে তিনি নিমপিঠে Vivekananda Institute of Biotechnology এবং বেলুড় মঠে সমাজ শিক্ষণ মন্দিরের সঙ্গে এখনও যুক্ত। দিল্লি থেকে পরিচালিত কৃষি জাগরণ পত্রিকার বাংলা প্রকাশনার সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। তিনি অর্গানিক ফারমিং ও জীবাণুসার বিষয় নিয়ে বেশ কিছু বই লেখেন এবং দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তিনি বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পপুলার আর্টিকেল লেখেন। কবিতা, প্রবন্ধ নিয়েও তাঁর কয়েকটি বই পাঠকের কাছে সমাদর পেয়েছে।
Product details
ড. পরিতোষ ভট্টাচার্য
হার্ডকভার
২৭৬ পাতা
গোবরডাঙা গাবেসণা পরিষৎ
বিজ্ঞান, বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানচেতনা বইটিতে বিজ্ঞানের নানা প্রসঙ্গ নানা ভাবে আলোচিত হয়েছে। শুরুতেই স্মরণ করা হয়েছে সেইসব বিজ্ঞানীদের যাঁদের অবদান ভারতীয় বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এই সমস্ত স্মরণীয় বিজ্ঞানীদের মধ্যে বাঙালি বিজ্ঞানীরা নানা গবেষণার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পরিমণ্ডলে ক্রমাগত স্বীকৃতি পেয়ে চলেছেন। আলোচ্য গ্রন্থটির বিশেষত্ব হলো এই যে, এই প্রথম একসঙ্গে দু-ডজন (২৪) বাঙালি মৃত্তিকা বিজ্ঞানীর কথা বিশেষ গুরুত্ব নিয়ে বলা হয়েছে, যা আগে কখনো কোথাও হয় নি।
আমরা অনেকেই জানি না যে হাতঘড়ি, জলের ক্যান, টিস্যু পেপার, ব্লাড ব্যাংক ইত্যাদি প্রাত্যহিক প্রয়োজনীয় জিনিস প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন শুধুমাত্র যুদ্ধের প্রয়োজনে আবিষ্কৃত হয়েছে। বর্তমান গ্রন্থটিতে এইসব বিষয় প্রসঙ্গে বিশদ বিবরণ পাওয়া যাবে। এছাড়া যুদ্ধ, অস্ত্র ও পরমাণু বিস্ফোরণের বিশেষ বিশেষ রাজনৈতিক এবং বৈজ্ঞানিক প্রেক্ষাপট নিয়ে যে আখ্যান শোনানো হয়েছে, তা খুবই রোমাঞ্চকর। এই অনুষঙ্গে বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইন, এনরিকো ফের্মি, হেবার ও অন্যান্য বিশিষ্ট বিজ্ঞানীদের প্রসঙ্গ স্বাভাবিকভাবেই এসেছে।
হেবারের শেষ জীবন খুবই দুঃখের। বিজ্ঞানের এই বিশিষ্ট গ্রন্থে লেখক বিজ্ঞান চেতনা নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের অবতারণা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে কুসংস্কার নিয়ে আলোচনা, জন্ম-মৃত্যু নিয়ে দোলাচল পরিস্থিতি, ভ্যাকসিনেশন ও অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দু, বিজ্ঞানে জোচ্চুরি ও নৈতিকতা, প্রতিনিয়ত রাসায়নিক বিষযুক্ত ভেজাল খাবার খাওয়ার কু প্রভাব ইত্যাদি। গ্রন্থটির শেষে লেখক কীভাবে একজন বিজ্ঞান কর্মী হয়ে উঠেছিলেন, তার আন্তরিক প্রতিবেদন সহজ ভাষায় উপস্থাপনা করেছেন।
লেখক পরিছিতি
ড. পরিতোষ ভট্টাচার্য কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-এর সাম্মানিক (রসায়ন) স্নাতক এবং কৃষি রসায়নে (মৃত্তিকা জীবাণুবিজ্ঞান) স্নাতকোত্তর, তথা পিএইচ. ডি.। জীবন শুরু শিক্ষকতার আঙিনায়। সত্তর দশকের শেষে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরে অবস্থিত রাজ্য সরকারের Pulses and Oilseeds Research Station-এ রিসার্চ অফিসার (মাইক্রোবায়োলজি)-র দায়িত্ব নিয়ে কাজে যোগ দেন এবং পরে কর্মসূত্রে ভারত সরকারের কৃষি বিভাগে কাজ করেছেন এবং কৃষি মন্ত্রনালয়ের অধীনে 'ন্যাশনাল সেন্টার অফ অর্গানিক ফার্মিং'-এর প্রতিষ্ঠাতা নির্দেশক। এছাড়াও কৃষি ভবন, নিউ দিল্লিতে অ্যাডিশনাল কমিশনার (আই এন এম)-এর দায়িত্ব বহন করেছেন। একই সঙ্গে তিনি FAO Project on Organic Farming-এর ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর ছিলেন এবং অবসরের পর অ্যামিটি ইউনিভার্সিটি, নয়ডা (উত্তরপ্রদেশ)-তে অধ্যাপনা ও গবেষণায় যুক্ত হন। ইন্দিরা গান্ধী ওপেন ইউনিভার্সিটি জৈব কৃষি কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করেন।
এছাড়া DBT, DST, FAI, APEDA বিভিন্ন কমিটির সদস্য ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে তিনি নিমপিঠে Vivekananda Institute of Biotechnology এবং বেলুড় মঠে সমাজ শিক্ষণ মন্দিরের সঙ্গে এখনও যুক্ত। দিল্লি থেকে পরিচালিত কৃষি জাগরণ পত্রিকার বাংলা প্রকাশনার সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। তিনি অর্গানিক ফারমিং ও জীবাণুসার বিষয় নিয়ে বেশ কিছু বই লেখেন এবং দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তিনি বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পপুলার আর্টিকেল লেখেন। কবিতা, প্রবন্ধ নিয়েও তাঁর কয়েকটি বই পাঠকের কাছে সমাদর পেয়েছে।
Sort by
Newest first
Newest first
Oldest first
Highest rated
Lowest rated
Ratings
All ratings
All ratings
5 Stars
4 Stars
3 Stars
2 Stars
1 Star