Menu

বিজ্ঞান আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত রূপরেখা

₹300
History of Science

বিজ্ঞান আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত রূপরেখা

Product details

সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়

হার্ডকভার

১৬৪ পাতা

গোবরডাঙা গাবেসণা পরিষৎ

বিজ্ঞান আন্দোলন- কথাটা আজ ব্যাপকতর অর্থে বিশ্ব জুড়ে বহুচর্চিত। রাজা রামমোহন রায়ের হাত দিয়ে ভারতে যে নবজাগরণ প্রয়াস ও চর্চা শুরু হয়েছিল তার ভেতরেও এর অঙ্কুর জাগ্রত ছিল। বিদ্যাসাগর যখন বলেন, বেদান্ত ভুয়োদর্শন, এর বদলে লক, হিউমের দর্শন ছাত্রদের পড়ানো উচিত। এর মধ্যেই রয়েছে আধুনিক যুক্তিবাদ ও বিজ্ঞান মনস্কতার শিকড়।

স্বাধীনতার পর বিজ্ঞান আন্দোলন কথাটা, বিশেষ করে ১৯৭২-র স্টকহোম সম্মেলনের পর সুইডেন এই ভাবনার প্রচার ও প্রসারে ব্যাপকতা লক্ষ করা যায়। ১৯৬০ থেকে শুরু হওয়া বিজ্ঞান ক্লাব আন্দোলন ও ১৯৭২-র পর থেকে জন বিজ্ঞান আন্দোলন পশ্চিমবঙ্গে নতুন মাত্রা সংযোজন করে। পরমাণু বোমার ভয়ানক ক্ষয়ক্ষতির বিরুদ্ধে হিরোসিমা-নাগাসাকি আর নয়-ব্যাপক গণপ্রচার জনমানসে সাড়া ফেলে।

বিজ্ঞান আন্দোলনের একটা দিক হল মুক্তবুদ্ধি-যুক্তিজাত জীবনপ্রয়াস। 'অলৌকিক নয়, লৌকিক'- এই প্রচার মানুষকে সচেতনতার দিশা দেখিয়েছে। চারপাশের অনেক অন্ধকারকে অপসারণের জন্য বৈজ্ঞানিক দর্শনের শিকড়ের অনুসন্ধান যে অত্যাবশ্যক তা আজ সম্যক উপলব্ধিতে আনতে অনেক সংগঠন নীরব শ্রম ও নিষ্ঠায় ব্যাপৃত আছে।

লেখক নিজেই একজন বিজ্ঞান লেখক-বিজ্ঞান কর্মী। ইতিহাসের মূল ধারার ছাত্র হয়েও নিজের গবেষণার বিষয় নির্বাচন করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের বিজ্ঞান ভাবনার ইতিবৃত্ত বিকাশের আধুনিক ধারাকে নথিভুক্ত করতে। বর্তমানে তিনি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে অধ্যাপনায় রত থাকলেও তাঁর এই মননচর্চা অনেক ইতিহাসবিদকেও উদ্বুদ্ধ করেছে। তাঁর অধীনে একাধিক ছাত্রছাত্রী এই সব জনবিজ্ঞান আন্দোলনমূলক সমাজ বিজ্ঞান নির্ভর গবেষণা চর্চার আঙিনায় এম. ফিল, ও পিএইচ, ডি. গবেষণায় সাফল্য তুলে ধরেছে।

লেখকের বিভিন্ন সময়ের কিছু লেখার মালা গাঁথা এই বই। প্রতিটি রচনাই স্বয়ং সম্পূর্ণ। অত্যন্ত গুছিয়ে তথ্য নির্ভরতায় পরিবেশিত। সহজ ও সাবলীল লেখনী পাঠককে মুগ্ধ ও চিন্তাশীল হতে সহায়তা দেবে। একটি আধুনিক বিষয় যা একান্তই বিজ্ঞান নির্ভর, তা যে মানুষের সভ্যতাকে জড়িয়ে ফেলেছে, লেখক সুচারু চিন্তায় তা তুলে এনেছেন। এখানেই গ্রন্থটির সার্বিক প্রয়োজনীয়তা মূর্ত হয়েছে।

Product details

সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়

হার্ডকভার

১৬৪ পাতা

গোবরডাঙা গাবেসণা পরিষৎ

বিজ্ঞান আন্দোলন- কথাটা আজ ব্যাপকতর অর্থে বিশ্ব জুড়ে বহুচর্চিত। রাজা রামমোহন রায়ের হাত দিয়ে ভারতে যে নবজাগরণ প্রয়াস ও চর্চা শুরু হয়েছিল তার ভেতরেও এর অঙ্কুর জাগ্রত ছিল। বিদ্যাসাগর যখন বলেন, বেদান্ত ভুয়োদর্শন, এর বদলে লক, হিউমের দর্শন ছাত্রদের পড়ানো উচিত। এর মধ্যেই রয়েছে আধুনিক যুক্তিবাদ ও বিজ্ঞান মনস্কতার শিকড়।

স্বাধীনতার পর বিজ্ঞান আন্দোলন কথাটা, বিশেষ করে ১৯৭২-র স্টকহোম সম্মেলনের পর সুইডেন এই ভাবনার প্রচার ও প্রসারে ব্যাপকতা লক্ষ করা যায়। ১৯৬০ থেকে শুরু হওয়া বিজ্ঞান ক্লাব আন্দোলন ও ১৯৭২-র পর থেকে জন বিজ্ঞান আন্দোলন পশ্চিমবঙ্গে নতুন মাত্রা সংযোজন করে। পরমাণু বোমার ভয়ানক ক্ষয়ক্ষতির বিরুদ্ধে হিরোসিমা-নাগাসাকি আর নয়-ব্যাপক গণপ্রচার জনমানসে সাড়া ফেলে।

বিজ্ঞান আন্দোলনের একটা দিক হল মুক্তবুদ্ধি-যুক্তিজাত জীবনপ্রয়াস। 'অলৌকিক নয়, লৌকিক'- এই প্রচার মানুষকে সচেতনতার দিশা দেখিয়েছে। চারপাশের অনেক অন্ধকারকে অপসারণের জন্য বৈজ্ঞানিক দর্শনের শিকড়ের অনুসন্ধান যে অত্যাবশ্যক তা আজ সম্যক উপলব্ধিতে আনতে অনেক সংগঠন নীরব শ্রম ও নিষ্ঠায় ব্যাপৃত আছে।

লেখক নিজেই একজন বিজ্ঞান লেখক-বিজ্ঞান কর্মী। ইতিহাসের মূল ধারার ছাত্র হয়েও নিজের গবেষণার বিষয় নির্বাচন করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের বিজ্ঞান ভাবনার ইতিবৃত্ত বিকাশের আধুনিক ধারাকে নথিভুক্ত করতে। বর্তমানে তিনি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে অধ্যাপনায় রত থাকলেও তাঁর এই মননচর্চা অনেক ইতিহাসবিদকেও উদ্বুদ্ধ করেছে। তাঁর অধীনে একাধিক ছাত্রছাত্রী এই সব জনবিজ্ঞান আন্দোলনমূলক সমাজ বিজ্ঞান নির্ভর গবেষণা চর্চার আঙিনায় এম. ফিল, ও পিএইচ, ডি. গবেষণায় সাফল্য তুলে ধরেছে।

লেখকের বিভিন্ন সময়ের কিছু লেখার মালা গাঁথা এই বই। প্রতিটি রচনাই স্বয়ং সম্পূর্ণ। অত্যন্ত গুছিয়ে তথ্য নির্ভরতায় পরিবেশিত। সহজ ও সাবলীল লেখনী পাঠককে মুগ্ধ ও চিন্তাশীল হতে সহায়তা দেবে। একটি আধুনিক বিষয় যা একান্তই বিজ্ঞান নির্ভর, তা যে মানুষের সভ্যতাকে জড়িয়ে ফেলেছে, লেখক সুচারু চিন্তায় তা তুলে এনেছেন। এখানেই গ্রন্থটির সার্বিক প্রয়োজনীয়তা মূর্ত হয়েছে।

You might like these