Menu

অঙ্ক ভাবনা: অঙ্ক বিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকা (দুটি সংখ্যার সংকলন)

₹300
Fascinating Mathematics

অঙ্ক ভাবনা: অঙ্ক বিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকা (দুটি সংখ্যার সংকলন)

Product details

সংকলন সম্পাদনা: দীপক কুমার দাঁ এবং দীপঙ্কর সরকার

পেপারব্যাক

১৫০ পাতা

পশ্চিমবঙ্গ গণিত পরিষৎ

বাংলা ভাষায় গণিতচর্চার ইতিহাসে ‘অঙ্ক ভাবনা’ এমন এক নথি, যার নাম হয়তো অনেকেই কখনো শোনেননি - অথচ তার উপস্থিতি ছিল নিঃশব্দে এক দুঃসাহসী বুদ্ধিবৃত্তিক ঘোষণা। ১৯৬৫ সালে কমলকুমার মজুমদার ও অধ্যাপক আনন্দমোহন ঘোষ - দুই সম্পূর্ণ আলাদা স্বভাবে ভরা, কিন্তু গভীর মননে সংযুক্ত মানুষ - বাংলায় অঙ্ক বিষয়ক একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। মাত্র দু’টি সংখ্যা। তারপর আর কিছু নেই। কিন্তু যে দু’টি সংখ্যা বেরিয়েছিল, তা আজ ফিরে দেখলে বোঝা যায় - বাংলা ভাষায় “গণিতকে সাহিত্যিক সৌন্দর্যের ভাষায়” ভাবার, লেখার, অনুবাদ করার এক অতি সূক্ষ্ম ও প্রথম সারির প্রচেষ্টা ছিল সেটা।

এই সংকলন সেই দুই সংখ্যাকেই একত্র করেছে - পশ্চিমবঙ্গ গণিত পরিষৎ-এর উদ্যোগে। এটি শুধুমাত্র একটি  পুনর্মুদ্রণ নয়, বরং একধরনের সাংস্কৃতিক উদ্ধারকার্য।

কমলকুমার যখন বলতেন - “অঙ্কে সৌন্দর্য আছে”, সেটা কাব্যের উপমা নয়। মহাকাশের নক্ষত্রবিন্যাস থেকে মৌমাছির চাক - সংখ্যার যুক্তি ও আকারের বিন্যাসের মধ্যেই তিনি এক নৈতিক ঘনত্ব দেখতেন। অঙ্ক ভাবনা-র এই দুই সংখ্যায় সেই ভাবনার চিহ্ন ছড়ানো - অনুবাদের নির্বাচনে, বিষয়ের বৈচিত্র্যে, সম্পাদকীয়ের স্বরে।

আজ আমরা “পপুলার ম্যাথস” বলে যে ধারাকে অভ্যস্ত, সেখানে উত্তেজনা আছে, রঙ আছে, গল্প আছে। কিন্তু অঙ্ক ভাবনা ছিল “ইনডোর আলোয় বসে মন শান্ত করে পড়ার” গণিত। এমন পাঠকের জন্য, যিনি গণিতে শুধু ট্রিক বা শর্টকাট নয় - সৌন্দর্য, যুক্তি, ধারণার গভীরতা চান।

এ বই সেই হারিয়ে যাওয়া মুহূর্তটাকে আবার সামনে আনে - যখন বাংলা ভাষায় গণিতচর্চা ছিল খুবই সিরিয়াস, গভীর, আর নির্ভেজাল কৌতূহল থেকে চালিত।

একটা সংকলন হিসেবে এটি শুধু সংগ্রহযোগ্য নয় - বরং “বাংলায় গণিত-মনন” শব্দটিরই এক দলিল। এই বই পড়তে গিয়ে অঙ্ককে আবার নতুন করে ভাবতে হয় - আর ঠিক সেখানেই এর মায়া।

Product details

সংকলন সম্পাদনা: দীপক কুমার দাঁ এবং দীপঙ্কর সরকার

পেপারব্যাক

১৫০ পাতা

পশ্চিমবঙ্গ গণিত পরিষৎ

বাংলা ভাষায় গণিতচর্চার ইতিহাসে ‘অঙ্ক ভাবনা’ এমন এক নথি, যার নাম হয়তো অনেকেই কখনো শোনেননি - অথচ তার উপস্থিতি ছিল নিঃশব্দে এক দুঃসাহসী বুদ্ধিবৃত্তিক ঘোষণা। ১৯৬৫ সালে কমলকুমার মজুমদার ও অধ্যাপক আনন্দমোহন ঘোষ - দুই সম্পূর্ণ আলাদা স্বভাবে ভরা, কিন্তু গভীর মননে সংযুক্ত মানুষ - বাংলায় অঙ্ক বিষয়ক একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। মাত্র দু’টি সংখ্যা। তারপর আর কিছু নেই। কিন্তু যে দু’টি সংখ্যা বেরিয়েছিল, তা আজ ফিরে দেখলে বোঝা যায় - বাংলা ভাষায় “গণিতকে সাহিত্যিক সৌন্দর্যের ভাষায়” ভাবার, লেখার, অনুবাদ করার এক অতি সূক্ষ্ম ও প্রথম সারির প্রচেষ্টা ছিল সেটা।

এই সংকলন সেই দুই সংখ্যাকেই একত্র করেছে - পশ্চিমবঙ্গ গণিত পরিষৎ-এর উদ্যোগে। এটি শুধুমাত্র একটি  পুনর্মুদ্রণ নয়, বরং একধরনের সাংস্কৃতিক উদ্ধারকার্য।

কমলকুমার যখন বলতেন - “অঙ্কে সৌন্দর্য আছে”, সেটা কাব্যের উপমা নয়। মহাকাশের নক্ষত্রবিন্যাস থেকে মৌমাছির চাক - সংখ্যার যুক্তি ও আকারের বিন্যাসের মধ্যেই তিনি এক নৈতিক ঘনত্ব দেখতেন। অঙ্ক ভাবনা-র এই দুই সংখ্যায় সেই ভাবনার চিহ্ন ছড়ানো - অনুবাদের নির্বাচনে, বিষয়ের বৈচিত্র্যে, সম্পাদকীয়ের স্বরে।

আজ আমরা “পপুলার ম্যাথস” বলে যে ধারাকে অভ্যস্ত, সেখানে উত্তেজনা আছে, রঙ আছে, গল্প আছে। কিন্তু অঙ্ক ভাবনা ছিল “ইনডোর আলোয় বসে মন শান্ত করে পড়ার” গণিত। এমন পাঠকের জন্য, যিনি গণিতে শুধু ট্রিক বা শর্টকাট নয় - সৌন্দর্য, যুক্তি, ধারণার গভীরতা চান।

এ বই সেই হারিয়ে যাওয়া মুহূর্তটাকে আবার সামনে আনে - যখন বাংলা ভাষায় গণিতচর্চা ছিল খুবই সিরিয়াস, গভীর, আর নির্ভেজাল কৌতূহল থেকে চালিত।

একটা সংকলন হিসেবে এটি শুধু সংগ্রহযোগ্য নয় - বরং “বাংলায় গণিত-মনন” শব্দটিরই এক দলিল। এই বই পড়তে গিয়ে অঙ্ককে আবার নতুন করে ভাবতে হয় - আর ঠিক সেখানেই এর মায়া।

You might like these