Menu

প্রাকৃতিক চাষ ও জৈব চাষ এবং সুস্থায়ী কৃষি (কি, কেন ও কীভাবে?)

₹550
Environment Enthusiasm

প্রাকৃতিক চাষ ও জৈব চাষ এবং সুস্থায়ী কৃষি (কি, কেন ও কীভাবে?)

Product details


ড. পরিতোষ ভট্টাচার্য

হার্ডকভার

৪০০ পাতা

ড. পরিতোষ ভট্টাচার্য 

আধুনিক কৃষিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার আজ কৃষক থেকে শুরু করে কৃষিবিজ্ঞানী সকলের কাছেই গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে টেকসই ও সুস্থায়ী কৃষির সন্ধান অত্যন্ত জরুরি হলেও, তার প্রকৃত রূপ নিয়ে রয়েছে নানা মতভেদ ও অনিশ্চয়তা। প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করে যে কৃষি পদ্ধতি গড়ে ওঠে, সেটাই দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল এই ভাবনাকে কেন্দ্র করেই প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রতি আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে।

এই বইটিতে সুস্থায়ী কৃষির ধারণা, প্রাকৃতিক কৃষির উৎপত্তি ও দর্শন, প্রকৃতি ও কৃষির আন্তঃসম্পর্ক, রাসায়নিক কৃষির ক্ষতিকর দিক, এবং পরম্পরাগত কৃষি থেকে আধুনিক জৈব কৃষির উত্তরণের পথ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে প্রাকৃতিক ও জৈব চাষের প্রযুক্তি, শস্যরক্ষার পরিবেশবান্ধব কৌশল, প্রাকৃতিক শস্য উৎপাদন পদ্ধতি, জৈব খাদ্যের বাজার ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনা। বইটির একটি বিশেষ আকর্ষণ হল ‘গুরু–শিষ্য সংলাপ’ অংশ, যেখানে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে জটিল বিষয়গুলো সহজভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। শেষে রয়েছে প্রয়োজনীয় পরিশিষ্ট, যা পাঠকের জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

কৃষক, কৃষি গবেষক, কৃষি সম্প্রসারক, কৃষিবিজ্ঞানী ও কৃষি পরামর্শদাতাদের জন্য এই বইটি একটি কার্যকর, চিন্তাশীল ও সময়োপযোগী পথনির্দেশিকা হিসেবে কাজে আসবে বলে আশা করা যায়।

 

লেখক পরিচিতি

বিশিষ্ট গবেষক শিক্ষাবিদ জৈব কৃষিবিজ্ঞানী। জন্ম-২১ জানুয়ারি, ১৯৪৭ সালে কলকাতায়। আদি নিবাস বাংলাদেশের ফরিদপুর। পিতা 'আশুতোষ, মাতা 'সুরধুনী দেবী। শ্যামবাজার পার্ক ইনস্টিটিউশন থেকে মাধ্যমিক (১৯৬৪) এবং সিটি কলেজ থেকে রসায়ন বিদ্যায় (অনার্স) স্নাতক (১৯৬৮)। ১৯৭০ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি রসায়ন এবং মৃত্তিকা অনুজীব বিজ্ঞানে (সয়েল মাইক্রোবায়োলজি) এম.এসসি. পাশ করেন। পরে ১৯৮০ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা জীবাণুবিজ্ঞানে অধ্যাপক ড. বিমলকৃষ্ণ দে-র অধীনে পিএইচ.ডি. উপাধি লাভ করেন।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডালশস্য ও তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্রে (বহরমপুর) কর্মজীবন শুরু। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত রিসার্চ অফিসার (মাইক্রোবায়োলজি) / সহকারী কৃষি রসায়নবিদ পদে ছিলেন। এরপর গাজিয়াবাদে অবস্থিত ভারত সরকারের কৃষিমন্ত্রকে ন্যাশনাল বায়োর্ফাটিলাইজার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার সংস্থায় ১৯৮৯ সালে Training cum Extension Specialist পদে আসীন হন (১৯৮৯-১৯৯২)। পরে ১৯৯২ থেকে ২০০১ পর্যন্ত Regional Director/Senior Microbiologist হিসেবে সংস্থায় কাজ করেন। ২০০২ সালে তিনি ন্যাশনাল সেন্টার অফ বায়োফার্টিলাইজার সংস্থার ডিরেক্টর হন (২০০২-২০০৪)। ২০০৪-২০০৭ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে ন্যাশনাল সেন্টার অফ অর্গানিক ফার্মিং-এর প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন Additional Commissioner (INM), কৃষিভবন এবং ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর, FAO Project on Organic Farming। অবসর নেবার পর উত্তরপ্রদেশের নয়ভায় Amity University-তে গবেষণা ও অধ্যাপনা করেন (২০০৭-২০১১)। কর্মসূত্রে ও ব্যক্তিগত কাজে তিনি গিয়েছেন সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, বেজিং, মঙ্গোলিয়া ও থাইল্যান্ড। তাঁর প্রকাশিত গবেষণা পেপার ও লেখা শতাধিক। Biofertiliser & Organic Farming-এর উপর ১০টির বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন। ২০০৭ সালে তিনি FAI থেকে ধীরু মোরারজি মেমোরিয়াল পুরস্কার পান। পশ্চিমবঙ্গে তিনি বেলুড় মঠে (সমাজ শিক্ষণ মন্দির), রামকৃষ্ণ আশ্রম নিমপীঠে জৈবকৃষি ও জীবাণুসার নিয়ে প্রশিক্ষণ দেন। সম্পাদনা করেছেন ৪টি পত্রিকা-কৃষিজাগরণ, GAP Newsletter, Biofertiliser Newsletter, Organic Farming Newsletter। বর্তমানে তিনি SCOPE Organic Informatics-এর উপদেষ্টা। কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ নিয়েও তিনি লেখেন।

Product details


ড. পরিতোষ ভট্টাচার্য

হার্ডকভার

৪০০ পাতা

ড. পরিতোষ ভট্টাচার্য 

আধুনিক কৃষিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার আজ কৃষক থেকে শুরু করে কৃষিবিজ্ঞানী সকলের কাছেই গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে টেকসই ও সুস্থায়ী কৃষির সন্ধান অত্যন্ত জরুরি হলেও, তার প্রকৃত রূপ নিয়ে রয়েছে নানা মতভেদ ও অনিশ্চয়তা। প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করে যে কৃষি পদ্ধতি গড়ে ওঠে, সেটাই দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল এই ভাবনাকে কেন্দ্র করেই প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রতি আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে।

এই বইটিতে সুস্থায়ী কৃষির ধারণা, প্রাকৃতিক কৃষির উৎপত্তি ও দর্শন, প্রকৃতি ও কৃষির আন্তঃসম্পর্ক, রাসায়নিক কৃষির ক্ষতিকর দিক, এবং পরম্পরাগত কৃষি থেকে আধুনিক জৈব কৃষির উত্তরণের পথ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে প্রাকৃতিক ও জৈব চাষের প্রযুক্তি, শস্যরক্ষার পরিবেশবান্ধব কৌশল, প্রাকৃতিক শস্য উৎপাদন পদ্ধতি, জৈব খাদ্যের বাজার ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনা। বইটির একটি বিশেষ আকর্ষণ হল ‘গুরু–শিষ্য সংলাপ’ অংশ, যেখানে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে জটিল বিষয়গুলো সহজভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। শেষে রয়েছে প্রয়োজনীয় পরিশিষ্ট, যা পাঠকের জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

কৃষক, কৃষি গবেষক, কৃষি সম্প্রসারক, কৃষিবিজ্ঞানী ও কৃষি পরামর্শদাতাদের জন্য এই বইটি একটি কার্যকর, চিন্তাশীল ও সময়োপযোগী পথনির্দেশিকা হিসেবে কাজে আসবে বলে আশা করা যায়।

 

লেখক পরিচিতি

বিশিষ্ট গবেষক শিক্ষাবিদ জৈব কৃষিবিজ্ঞানী। জন্ম-২১ জানুয়ারি, ১৯৪৭ সালে কলকাতায়। আদি নিবাস বাংলাদেশের ফরিদপুর। পিতা 'আশুতোষ, মাতা 'সুরধুনী দেবী। শ্যামবাজার পার্ক ইনস্টিটিউশন থেকে মাধ্যমিক (১৯৬৪) এবং সিটি কলেজ থেকে রসায়ন বিদ্যায় (অনার্স) স্নাতক (১৯৬৮)। ১৯৭০ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি রসায়ন এবং মৃত্তিকা অনুজীব বিজ্ঞানে (সয়েল মাইক্রোবায়োলজি) এম.এসসি. পাশ করেন। পরে ১৯৮০ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা জীবাণুবিজ্ঞানে অধ্যাপক ড. বিমলকৃষ্ণ দে-র অধীনে পিএইচ.ডি. উপাধি লাভ করেন।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডালশস্য ও তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্রে (বহরমপুর) কর্মজীবন শুরু। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত রিসার্চ অফিসার (মাইক্রোবায়োলজি) / সহকারী কৃষি রসায়নবিদ পদে ছিলেন। এরপর গাজিয়াবাদে অবস্থিত ভারত সরকারের কৃষিমন্ত্রকে ন্যাশনাল বায়োর্ফাটিলাইজার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার সংস্থায় ১৯৮৯ সালে Training cum Extension Specialist পদে আসীন হন (১৯৮৯-১৯৯২)। পরে ১৯৯২ থেকে ২০০১ পর্যন্ত Regional Director/Senior Microbiologist হিসেবে সংস্থায় কাজ করেন। ২০০২ সালে তিনি ন্যাশনাল সেন্টার অফ বায়োফার্টিলাইজার সংস্থার ডিরেক্টর হন (২০০২-২০০৪)। ২০০৪-২০০৭ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে ন্যাশনাল সেন্টার অফ অর্গানিক ফার্মিং-এর প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন Additional Commissioner (INM), কৃষিভবন এবং ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর, FAO Project on Organic Farming। অবসর নেবার পর উত্তরপ্রদেশের নয়ভায় Amity University-তে গবেষণা ও অধ্যাপনা করেন (২০০৭-২০১১)। কর্মসূত্রে ও ব্যক্তিগত কাজে তিনি গিয়েছেন সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, বেজিং, মঙ্গোলিয়া ও থাইল্যান্ড। তাঁর প্রকাশিত গবেষণা পেপার ও লেখা শতাধিক। Biofertiliser & Organic Farming-এর উপর ১০টির বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন। ২০০৭ সালে তিনি FAI থেকে ধীরু মোরারজি মেমোরিয়াল পুরস্কার পান। পশ্চিমবঙ্গে তিনি বেলুড় মঠে (সমাজ শিক্ষণ মন্দির), রামকৃষ্ণ আশ্রম নিমপীঠে জৈবকৃষি ও জীবাণুসার নিয়ে প্রশিক্ষণ দেন। সম্পাদনা করেছেন ৪টি পত্রিকা-কৃষিজাগরণ, GAP Newsletter, Biofertiliser Newsletter, Organic Farming Newsletter। বর্তমানে তিনি SCOPE Organic Informatics-এর উপদেষ্টা। কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ নিয়েও তিনি লেখেন।

You might like these