মাছ জল মৎস্যজীবী (১ম)
Product details
ড. সূর্য্যেন্দ দে
২০০ পাতা
হার্ডকভার
ড. সূর্য্যেন্দ দে
ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে পশ্চিমবঙ্গ এক সমৃদ্ধ জলজ পরিবেশের ধারক নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-বাওড় ও জলাভূমিতে ভরা এই ভূমি একসময় চার শতাধিক প্রজাতির মাছের আবাস ছিল। কিন্তু আজ এই জলজ-জীবনভান্ডার ভয়াবহ পরিবেশ সংকটে গভীরভাবে বিপন্ন।
এই বইয়ে জলজ পরিবেশ ধ্বংসের মূলত তিনটি আন্তঃসম্পর্কযুক্ত সংকট স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। প্রথমত, জলের সংকট কৃষিকাজে অবাধ ও অপচয়মূলক জল ব্যবহার, খাল-বিল-পুকুর ও জলাভূমির ক্রমাগত লোপ, এবং অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক চাপে বিপর্যস্ত পরিবেশ-বাস্তুতন্ত্র। দ্বিতীয়ত, রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের বিষাক্ত প্রভাব জলজ জীবজগৎকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে; মাছের স্বাভাবিক জীবনচক্র ব্যাহত হয়ে বহু প্রজাতি বন্ধ্যাত্ব ও বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তৃতীয়ত, আবহমান কালের বাগদি, নিকারি সহ বিভিন্ন মৎস্যনির্ভর সমাজজীবী মানুষের জীবিকা ও অস্তিত্ব আজ চরম সংকটে। পুঁজিনির্ভর মৎস্য ব্যবসার আগ্রাসনে পশ্চিমবঙ্গের বিপুল সংখ্যক মৎস্যজীবী মানুষের ভবিষ্যৎ প্রায় ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে।
এই গ্রন্থ কোনও গতানুগতিক মাছচাষ বা মৎস্যপালনের বই নয়। দীর্ঘদিনের গবেষণা ও প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় লেখক ড. সূর্য্যেন্দু দে এক প্রায় অদৃশ্য সমাজজীবনের গভীর সংকটকে উন্মোচিত করেছেন। নিখুঁত তথ্য, বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও সমাজ-বাস্তবতার সমন্বয়ে তিনি জলের সমস্যা ও মাছের সংকটকে যেমন ব্যাখ্যা করেছেন, তেমনই মৎস্যজীবী মানুষের জীবিকা হারানোর হাহাকারকে তুলে ধরেছেন সংবেদনশীল সমাজবিশ্লেষণের মাধ্যমে।
‘জমি যার লাঙল তার’ এই সুপরিচিত শ্লোগানকে নতুন অর্থে ব্যাখ্যা করে লেখক সামনে এনেছেন শক্তিশালী জনভাবনা ‘জল যার, মাছ তার’। অর্থাৎ যে কোনো জলাশয়ের মাছের উপর সম্পূর্ণ অধিকার থাকবে প্রথাগত মৎস্যজীবী সমাজের। এই ন্যায্য সামাজিক দাবিকেই সুদৃঢ় করা এই বইয়ের মূল চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গি।
পরিবেশ, সমাজ ও মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ককে গভীরভাবে অনুধাবনের জন্য এই বই এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল যা আমাদের জল, মাছ এবং মৎস্যজীবী মানুষের অধিকার নতুন করে ভাবতে শেখায়।
লেখক পরিচিতি
গ্রন্থকার ড. সূর্য্যেন্দ দে (জন্ম ১৯৫৯) বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি, জেমো এলাকার একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মননশীল শিক্ষাব্যক্তিত্ব ড. দে ইতিমধ্যেই একটি মূল্যবান গবেষণা গ্রন্থ আমাদের উপহার দিয়েছেন (Fishermen of the Coastal Districts of Bengal: A Study in Socio-Cultural Trans-formation) যা তাঁকে Ph. D. উপাধিতে সম্মানিত করেছে।
ইতিহাস বিষয়ের অনুসন্ধিৎসু ছাত্র-
গবেষক হিসাবে তিনি সতত সমাজচিন্তার
বিবিধ পরিসরে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। বর্তমান গ্রন্থটিতে তিনি যে বিস্তৃত পরিসরে 'জল-মাছ-মৎস্যজীবী' (১ম খণ্ড) বিষয়ে আলোচনা তুলে ধরেছেন, তা এই বিষয়ের গবেষণায় পথিকৃতের সম্মানে ভূষিত।
বাংলার মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের আবহমান কালের জীবনচিত্র এখানে উঠে এসেছে গবেষণার স্বতন্ত্র ধারায়।
আধুনিক সময়ের বহুবিধ টুকরো ভাবনা রয়েছে প্রাসঙ্গিক আলোচনার পরিসরে। 'মাছ-ভাতে বাঙালি' জীবনকে তিনি ধরতে চেয়েছেন বৈজ্ঞানিক মনোবৃত্তির গবেষণা পরিকাঠামোয়। পরিবেশ সঙ্কটের বিবিধ কারণে যেমন জল-মাছ-মৎস্যজীবীকে কুরে কুরে খেয়ে ফাংস করছে, তেমনি নৃতাত্ত্বিক-সামাজিক জীবনভাষ্যের উদাহরণও রয়েছে পরিবেশনার সতর্ক সীমানায়।
এই বই বাংলা ও বাঙালির জল-মাছ-মৎস্যজীবী ভাবনার জীবনচিত্রের এক বাস্তব দলিল বিশেষ।
Product details
ড. সূর্য্যেন্দ দে
২০০ পাতা
হার্ডকভার
ড. সূর্য্যেন্দ দে
ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে পশ্চিমবঙ্গ এক সমৃদ্ধ জলজ পরিবেশের ধারক নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-বাওড় ও জলাভূমিতে ভরা এই ভূমি একসময় চার শতাধিক প্রজাতির মাছের আবাস ছিল। কিন্তু আজ এই জলজ-জীবনভান্ডার ভয়াবহ পরিবেশ সংকটে গভীরভাবে বিপন্ন।
এই বইয়ে জলজ পরিবেশ ধ্বংসের মূলত তিনটি আন্তঃসম্পর্কযুক্ত সংকট স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। প্রথমত, জলের সংকট কৃষিকাজে অবাধ ও অপচয়মূলক জল ব্যবহার, খাল-বিল-পুকুর ও জলাভূমির ক্রমাগত লোপ, এবং অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক চাপে বিপর্যস্ত পরিবেশ-বাস্তুতন্ত্র। দ্বিতীয়ত, রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের বিষাক্ত প্রভাব জলজ জীবজগৎকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে; মাছের স্বাভাবিক জীবনচক্র ব্যাহত হয়ে বহু প্রজাতি বন্ধ্যাত্ব ও বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তৃতীয়ত, আবহমান কালের বাগদি, নিকারি সহ বিভিন্ন মৎস্যনির্ভর সমাজজীবী মানুষের জীবিকা ও অস্তিত্ব আজ চরম সংকটে। পুঁজিনির্ভর মৎস্য ব্যবসার আগ্রাসনে পশ্চিমবঙ্গের বিপুল সংখ্যক মৎস্যজীবী মানুষের ভবিষ্যৎ প্রায় ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে।
এই গ্রন্থ কোনও গতানুগতিক মাছচাষ বা মৎস্যপালনের বই নয়। দীর্ঘদিনের গবেষণা ও প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় লেখক ড. সূর্য্যেন্দু দে এক প্রায় অদৃশ্য সমাজজীবনের গভীর সংকটকে উন্মোচিত করেছেন। নিখুঁত তথ্য, বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও সমাজ-বাস্তবতার সমন্বয়ে তিনি জলের সমস্যা ও মাছের সংকটকে যেমন ব্যাখ্যা করেছেন, তেমনই মৎস্যজীবী মানুষের জীবিকা হারানোর হাহাকারকে তুলে ধরেছেন সংবেদনশীল সমাজবিশ্লেষণের মাধ্যমে।
‘জমি যার লাঙল তার’ এই সুপরিচিত শ্লোগানকে নতুন অর্থে ব্যাখ্যা করে লেখক সামনে এনেছেন শক্তিশালী জনভাবনা ‘জল যার, মাছ তার’। অর্থাৎ যে কোনো জলাশয়ের মাছের উপর সম্পূর্ণ অধিকার থাকবে প্রথাগত মৎস্যজীবী সমাজের। এই ন্যায্য সামাজিক দাবিকেই সুদৃঢ় করা এই বইয়ের মূল চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গি।
পরিবেশ, সমাজ ও মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ককে গভীরভাবে অনুধাবনের জন্য এই বই এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল যা আমাদের জল, মাছ এবং মৎস্যজীবী মানুষের অধিকার নতুন করে ভাবতে শেখায়।
লেখক পরিচিতি
গ্রন্থকার ড. সূর্য্যেন্দ দে (জন্ম ১৯৫৯) বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি, জেমো এলাকার একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মননশীল শিক্ষাব্যক্তিত্ব ড. দে ইতিমধ্যেই একটি মূল্যবান গবেষণা গ্রন্থ আমাদের উপহার দিয়েছেন (Fishermen of the Coastal Districts of Bengal: A Study in Socio-Cultural Trans-formation) যা তাঁকে Ph. D. উপাধিতে সম্মানিত করেছে।
ইতিহাস বিষয়ের অনুসন্ধিৎসু ছাত্র-
গবেষক হিসাবে তিনি সতত সমাজচিন্তার
বিবিধ পরিসরে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। বর্তমান গ্রন্থটিতে তিনি যে বিস্তৃত পরিসরে 'জল-মাছ-মৎস্যজীবী' (১ম খণ্ড) বিষয়ে আলোচনা তুলে ধরেছেন, তা এই বিষয়ের গবেষণায় পথিকৃতের সম্মানে ভূষিত।
বাংলার মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের আবহমান কালের জীবনচিত্র এখানে উঠে এসেছে গবেষণার স্বতন্ত্র ধারায়।
আধুনিক সময়ের বহুবিধ টুকরো ভাবনা রয়েছে প্রাসঙ্গিক আলোচনার পরিসরে। 'মাছ-ভাতে বাঙালি' জীবনকে তিনি ধরতে চেয়েছেন বৈজ্ঞানিক মনোবৃত্তির গবেষণা পরিকাঠামোয়। পরিবেশ সঙ্কটের বিবিধ কারণে যেমন জল-মাছ-মৎস্যজীবীকে কুরে কুরে খেয়ে ফাংস করছে, তেমনি নৃতাত্ত্বিক-সামাজিক জীবনভাষ্যের উদাহরণও রয়েছে পরিবেশনার সতর্ক সীমানায়।
এই বই বাংলা ও বাঙালির জল-মাছ-মৎস্যজীবী ভাবনার জীবনচিত্রের এক বাস্তব দলিল বিশেষ।
Sort by
Newest first
Newest first
Oldest first
Highest rated
Lowest rated
Ratings
All ratings
All ratings
5 Stars
4 Stars
3 Stars
2 Stars
1 Star