Menu

বিরল পৃথিবী

₹375
Amazing Science

বিরল পৃথিবী

Product details

মণিশঙ্কর বিশ্বাস

হার্ডকভার

১৪৮ পাতা

তবুও প্রয়াস প্রকাশনী

বিজ্ঞানচেতনা অথবা বিজ্ঞানমনস্কতার সঙ্গে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আহরিত ডিগ্রি বা শিক্ষাগত যোগ্যতার সম্পর্ক আজ অত্যন্ত ক্ষীণ। এক শ্রেণির উচ্চশিক্ষিত মানুষ, এমনকী তাদের শিক্ষার ক্ষেত্রের সঙ্গে হয়তো বিজ্ঞানের নিবিড় যোগ আছে, যেরকম চিকিৎসাবিদ্যা, প্রযুক্তিবিদ্যা ইত্যাদি, তাদেরও অনেককে দেখেছি, নানারকম অবৈজ্ঞানিক তত্ত্বে বিশ্বাস করতে। এতে আজ আর আশ্চর্য হই না যখন দেখি, ইসরোর চেয়ারম্যান দাবি করছেন, মহাকাশবিদ্যার সবই পুরাণে আছে। অথবা পদার্থবিদ-সন্ন্যাসী বেদান্ত আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স যে মূলত একই তত্ত্ব, সেটা নিয়ে 'থিসিস' লেখেন। আধুনিক যেকোনো বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব, যে "ঈশ্বরের মুখ নিঃসৃত" একটি প্রাচীন বইতে আছে, সে-কথা যখন একজন প্রথিতযশা শিক্ষিত মানুষ বলেন, তখন বোঝা যায় কোথাও একটা বিরাট গোলমাল হচ্ছে। এসবই যে, প্রথমে বিজ্ঞানটা পড়ে নিয়ে অবৈজ্ঞানিক তত্ত্বগুলিকে তার মধ্যে ফিট করাবার আপ্রাণ চেষ্টা, সেটা যদি তথাকথিত শিক্ষিত মানুষরা না বোঝেন, তাহলে হতাশ হতে হয় বইকি! তবে এই বইতে কোনো অবৈজ্ঞানিক তত্ত্বকে 'ডিবাঙ্ক' করবার চেষ্টা করা হয়নি। কিন্তু এই বই পড়ে যদি কেউ নানাবিধ প্রচলিত অন্ধ-বিশ্বাসকে প্রশ্ন করবার কথা ভাবেন, তাহলেই এই বইয়ের লেখক-প্রকাশক সকলেরই উদ্দেশ্য সফল হবে।

 

লেখক পরিচিতি:

লেখালেখির শুরু নব্বই দশকের মাঝামাঝি। মূলত কবিতা লেখেন। প্রথম দিকে 'গান্ধার' পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৮ সালের বইমেলায় অল্প কিছু কবিতা নিয়ে গান্ধার থেকেই প্রথম কবিতা সংকলন, 'নম্র বৈশাখী ও নীলিমার অন্যান্য আয়োজন'।

২০০১ সাল থেকে বিদেশে বসবাসরত এবং কবিতার সঙ্গে সকল প্রকার সংস্রব ত্যাগ। ভার্চুয়াল যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় এবং কিছু অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধুর অকারণ উৎসাহে, ২০১০ সাল থেকে অকেশনালি মাদক নেবার মতো করে, পুনরায় দু-একটি করে কবিতা লেখা। এই বন্ধুদেরই উৎসাহে একক প্রদর্শনী 'চন্দনপিঁড়ি' প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে। সবমিলিয়ে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ছয়টি: 'চন্দনপিঁড়ি' (২০১৪), 'অশ্রুতরবার' (২০১৯), ইত্যাদি। ২০২৩ সালে 'ভাস্কর চক্রবর্তী পুরস্কার'-এ সম্মানিত হয়েছেন। ইদানীং বিভিন্ন ওয়েবজিনে ও সোশ্যাল মিডিয়ায়, বিজ্ঞান-বিষয়ক গদ্য ছাড়াও নানাবিধ বিষয়ে গদ্য লিখে থাকেন। বর্তমানে মুদ্রিত 'আবহমান' পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত এবং পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য।

Product details

মণিশঙ্কর বিশ্বাস

হার্ডকভার

১৪৮ পাতা

তবুও প্রয়াস প্রকাশনী

বিজ্ঞানচেতনা অথবা বিজ্ঞানমনস্কতার সঙ্গে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আহরিত ডিগ্রি বা শিক্ষাগত যোগ্যতার সম্পর্ক আজ অত্যন্ত ক্ষীণ। এক শ্রেণির উচ্চশিক্ষিত মানুষ, এমনকী তাদের শিক্ষার ক্ষেত্রের সঙ্গে হয়তো বিজ্ঞানের নিবিড় যোগ আছে, যেরকম চিকিৎসাবিদ্যা, প্রযুক্তিবিদ্যা ইত্যাদি, তাদেরও অনেককে দেখেছি, নানারকম অবৈজ্ঞানিক তত্ত্বে বিশ্বাস করতে। এতে আজ আর আশ্চর্য হই না যখন দেখি, ইসরোর চেয়ারম্যান দাবি করছেন, মহাকাশবিদ্যার সবই পুরাণে আছে। অথবা পদার্থবিদ-সন্ন্যাসী বেদান্ত আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স যে মূলত একই তত্ত্ব, সেটা নিয়ে 'থিসিস' লেখেন। আধুনিক যেকোনো বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব, যে "ঈশ্বরের মুখ নিঃসৃত" একটি প্রাচীন বইতে আছে, সে-কথা যখন একজন প্রথিতযশা শিক্ষিত মানুষ বলেন, তখন বোঝা যায় কোথাও একটা বিরাট গোলমাল হচ্ছে। এসবই যে, প্রথমে বিজ্ঞানটা পড়ে নিয়ে অবৈজ্ঞানিক তত্ত্বগুলিকে তার মধ্যে ফিট করাবার আপ্রাণ চেষ্টা, সেটা যদি তথাকথিত শিক্ষিত মানুষরা না বোঝেন, তাহলে হতাশ হতে হয় বইকি! তবে এই বইতে কোনো অবৈজ্ঞানিক তত্ত্বকে 'ডিবাঙ্ক' করবার চেষ্টা করা হয়নি। কিন্তু এই বই পড়ে যদি কেউ নানাবিধ প্রচলিত অন্ধ-বিশ্বাসকে প্রশ্ন করবার কথা ভাবেন, তাহলেই এই বইয়ের লেখক-প্রকাশক সকলেরই উদ্দেশ্য সফল হবে।

 

লেখক পরিচিতি:

লেখালেখির শুরু নব্বই দশকের মাঝামাঝি। মূলত কবিতা লেখেন। প্রথম দিকে 'গান্ধার' পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৮ সালের বইমেলায় অল্প কিছু কবিতা নিয়ে গান্ধার থেকেই প্রথম কবিতা সংকলন, 'নম্র বৈশাখী ও নীলিমার অন্যান্য আয়োজন'।

২০০১ সাল থেকে বিদেশে বসবাসরত এবং কবিতার সঙ্গে সকল প্রকার সংস্রব ত্যাগ। ভার্চুয়াল যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় এবং কিছু অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধুর অকারণ উৎসাহে, ২০১০ সাল থেকে অকেশনালি মাদক নেবার মতো করে, পুনরায় দু-একটি করে কবিতা লেখা। এই বন্ধুদেরই উৎসাহে একক প্রদর্শনী 'চন্দনপিঁড়ি' প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে। সবমিলিয়ে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ছয়টি: 'চন্দনপিঁড়ি' (২০১৪), 'অশ্রুতরবার' (২০১৯), ইত্যাদি। ২০২৩ সালে 'ভাস্কর চক্রবর্তী পুরস্কার'-এ সম্মানিত হয়েছেন। ইদানীং বিভিন্ন ওয়েবজিনে ও সোশ্যাল মিডিয়ায়, বিজ্ঞান-বিষয়ক গদ্য ছাড়াও নানাবিধ বিষয়ে গদ্য লিখে থাকেন। বর্তমানে মুদ্রিত 'আবহমান' পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত এবং পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য।

You might like these