Menu

বাৎসল্যবিধি

₹400
Effective Parenting

বাৎসল্যবিধি

Product details

ডাঃ পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

হার্ডকভার

১৯৪ পাতা

লিমেরিক লাভার্স পাবলিশার্স

বাংলায় দুটো প্রচলিত কথা আছে, ছেলে মানুষ করা, আর, মা হওয়া নয় মুখের কথা। ছেলে, এক্ষেত্রে সন্তান অর্থে। আর মানুষ করার অর্থ, তাকে সবদিক থেকে সমাজ ও পৃথিবীর যোগ্য করে গড়ে তোলা। মা ব্যবহৃত অভিভাবক সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে।

অভিভাবকের কাছে শিশু যেন এক তাল কাদা, যা নিজের সাধ্যে অবয়বে পরিণত করেন তিনি। সে অবয়ব শিব না বাঁদরের হবে তার উপর নির্ভর করে অভিভাবকের মুন্সিয়ানায়। এভাবে অনেক ক্ষেত্রে রাজার সন্তান ভিখারি আর ভিখারির সন্তান রাজা হয়। পন্ডিতের ঘরে জন্মায় নির্বোধ, নির্বোধের ঘরে পন্ডিত।

এ সাফল্য ও ব্যর্থতা কিছুটা পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল হলেও বেশিটা নির্ভর করে সন্তানের অভিভাবক (যা সিংহভাগ ক্ষেত্রে বাবা, মা) তাঁর সন্তানকে কোন পথে কিভাবে পরিচালিত করছেন তার উপর।

অভিভাবকত্বে দীর্ঘস্থায়ী সাফল্য অর্জনের পথ সর্বদা কঠিন। তাতে সন্তানের সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবককেও নিজেদের বিলাস-ব্যাসন সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিতে হয়। বিশ্বময় অভিভাবকত্ব নিয়ে নিরন্তর গবেষণা চলছে, চলবে। এই গবেষণালব্ধ একটা তথ্য হলো এই যে, ইতিবাচক অভিভাবকত্বই আসলে ফলদায়ী এবং তা ছেলের হাতের মোয়া নয়। প্রতি মুহূর্তে অভিভাবকদের যে দেখে ও ঠেকে শিখতে হয় শুধু তা'ই নয়, সঙ্গে তা হতে হয় বিজ্ঞানসম্মত ও যুক্তিনিষ্ঠ। ছাত্রের মতো মানসিকতা নিয়ে এই শেখার ফলশ্রুতি হলো, সন্তান মানুষ করার পথে আসা ভিন্ন ভিন্ন অন্তরায়গুলোকে সুনিপুণ ভাবে, সঠিক অর্থে নিজের অনুকূলে টেনে আনার ক্ষমতা অর্জন। মুশকিল ও মজার ব্যাপার হলো পৃথিবীর প্রতিটা শিশু গঠন, বিকাশ, মন-মানসিকতার দিক থেকে আলাদা। সুতরাং মানুষ হওয়ার পথে তাদের যাবতীয় সমস্যাগুলোও আলাদা। সেই একই কারণে শহুরে শিশু যে ভাবে বড় হয়, সেভাবে গ্রামের শিশু বড় হয় না। তাই অভিভাবকদের অভিভাবকত্বের পরীক্ষা পাশের জন্য কোনও মেড ইজি বা টেস্ট পেপার নেই। প্রতি মুহূর্তে ঘটে যাওয়া ঘটনাপঞ্জির থেকে শিক্ষা নিয়ে তাদের তৈরি করতে হয় পরবর্তী কর্মপন্থা, যা ধনী-দরিদ্র, গ্রাম্য-শহুরে, জ্ঞানী অথবা অজ্ঞান পরিবারের অভিভাবকের ক্ষেত্রে আলাদা।

এসব কিছু যদি বিচার করি, তাহলে অভিভাবকত্ব নিয়ে একটা আস্ত স্ক্র্যাপবুক লিখে ফেলা শুধু কঠিন নয়, প্রায় অসম্ভব। কিন্তু স্বস্তির বিষয় যা তা হলো বেশির ভাগ শিশুকে বড় করার ক্ষেত্রে যা কিছু ঘটে তা সাধারণ, অসাধারণ বা ব্যতিক্রমী নয়। এই সম্ভাবনার উপর ভরসা রেখেই যাঁদের সন্তান ভবিষ্যত নাগরিক হবে, তাঁদের সাহায্য করার জন্য এই বই লেখার প্রচেষ্টা।

 

লেখক পরিচিতি:

পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায় একাধারে একজন প্রশিক্ষিত শিশু চিকিৎসক, শিশু মনোবিদ ও সাহিত্যিক। তাঁর পরিচিতি কোনওটাতেই কম বা বেশি নয়, বরং তিন ক্ষেত্রেই অবাধ বিচরণে তাঁর স্বাচ্ছন্দ্য। ১৯৬৫ সনের পঁচিশে জুলাই বহরমপুরে এক শিক্ষাবিদের পরিবারে জন্ম এই চিকিৎসক লেখকের বংশ পরম্পরায় শিক্ষকতা ও সাহিত্যচর্চার ইতিহাস আছে, সুতরাং তাঁর সাহিত্যক্ষেত্রে জিনের প্রভাবও খানিক থাকা স্বাভাবিক। বিভিন্ন পরিচিত পত্রপত্রিকায় লেখা ছাড়াও এখনও পর্যন্ত ছোট বড় প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত তাঁর বইয়ের সংখ্যাও বিশেষ কম নয়, যার মধ্যে নিখাদ সাহিত্য যেমন আছে, তেমন আছে শিশু স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বই। বাৎসল্যবিধি নামক অভিভাবকত্ব সংক্রান্ত তাঁর এই নবতম প্রয়াস শিশুর অভিভাবকদের জন্য সহজ বাংলায় সহজ ভাবে লেখা। বাঙালির মাতৃভাষায় এমন বই খুব বেশি নেই তা'ই শুধু নয়, সঙ্গে এ নিয়েও কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই যে তাঁর এই প্রয়াস নিশ্চিতভাবে অভিভাবকদের কাজে আসবে।

Product details

ডাঃ পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

হার্ডকভার

১৯৪ পাতা

লিমেরিক লাভার্স পাবলিশার্স

বাংলায় দুটো প্রচলিত কথা আছে, ছেলে মানুষ করা, আর, মা হওয়া নয় মুখের কথা। ছেলে, এক্ষেত্রে সন্তান অর্থে। আর মানুষ করার অর্থ, তাকে সবদিক থেকে সমাজ ও পৃথিবীর যোগ্য করে গড়ে তোলা। মা ব্যবহৃত অভিভাবক সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে।

অভিভাবকের কাছে শিশু যেন এক তাল কাদা, যা নিজের সাধ্যে অবয়বে পরিণত করেন তিনি। সে অবয়ব শিব না বাঁদরের হবে তার উপর নির্ভর করে অভিভাবকের মুন্সিয়ানায়। এভাবে অনেক ক্ষেত্রে রাজার সন্তান ভিখারি আর ভিখারির সন্তান রাজা হয়। পন্ডিতের ঘরে জন্মায় নির্বোধ, নির্বোধের ঘরে পন্ডিত।

এ সাফল্য ও ব্যর্থতা কিছুটা পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল হলেও বেশিটা নির্ভর করে সন্তানের অভিভাবক (যা সিংহভাগ ক্ষেত্রে বাবা, মা) তাঁর সন্তানকে কোন পথে কিভাবে পরিচালিত করছেন তার উপর।

অভিভাবকত্বে দীর্ঘস্থায়ী সাফল্য অর্জনের পথ সর্বদা কঠিন। তাতে সন্তানের সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবককেও নিজেদের বিলাস-ব্যাসন সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিতে হয়। বিশ্বময় অভিভাবকত্ব নিয়ে নিরন্তর গবেষণা চলছে, চলবে। এই গবেষণালব্ধ একটা তথ্য হলো এই যে, ইতিবাচক অভিভাবকত্বই আসলে ফলদায়ী এবং তা ছেলের হাতের মোয়া নয়। প্রতি মুহূর্তে অভিভাবকদের যে দেখে ও ঠেকে শিখতে হয় শুধু তা'ই নয়, সঙ্গে তা হতে হয় বিজ্ঞানসম্মত ও যুক্তিনিষ্ঠ। ছাত্রের মতো মানসিকতা নিয়ে এই শেখার ফলশ্রুতি হলো, সন্তান মানুষ করার পথে আসা ভিন্ন ভিন্ন অন্তরায়গুলোকে সুনিপুণ ভাবে, সঠিক অর্থে নিজের অনুকূলে টেনে আনার ক্ষমতা অর্জন। মুশকিল ও মজার ব্যাপার হলো পৃথিবীর প্রতিটা শিশু গঠন, বিকাশ, মন-মানসিকতার দিক থেকে আলাদা। সুতরাং মানুষ হওয়ার পথে তাদের যাবতীয় সমস্যাগুলোও আলাদা। সেই একই কারণে শহুরে শিশু যে ভাবে বড় হয়, সেভাবে গ্রামের শিশু বড় হয় না। তাই অভিভাবকদের অভিভাবকত্বের পরীক্ষা পাশের জন্য কোনও মেড ইজি বা টেস্ট পেপার নেই। প্রতি মুহূর্তে ঘটে যাওয়া ঘটনাপঞ্জির থেকে শিক্ষা নিয়ে তাদের তৈরি করতে হয় পরবর্তী কর্মপন্থা, যা ধনী-দরিদ্র, গ্রাম্য-শহুরে, জ্ঞানী অথবা অজ্ঞান পরিবারের অভিভাবকের ক্ষেত্রে আলাদা।

এসব কিছু যদি বিচার করি, তাহলে অভিভাবকত্ব নিয়ে একটা আস্ত স্ক্র্যাপবুক লিখে ফেলা শুধু কঠিন নয়, প্রায় অসম্ভব। কিন্তু স্বস্তির বিষয় যা তা হলো বেশির ভাগ শিশুকে বড় করার ক্ষেত্রে যা কিছু ঘটে তা সাধারণ, অসাধারণ বা ব্যতিক্রমী নয়। এই সম্ভাবনার উপর ভরসা রেখেই যাঁদের সন্তান ভবিষ্যত নাগরিক হবে, তাঁদের সাহায্য করার জন্য এই বই লেখার প্রচেষ্টা।

 

লেখক পরিচিতি:

পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায় একাধারে একজন প্রশিক্ষিত শিশু চিকিৎসক, শিশু মনোবিদ ও সাহিত্যিক। তাঁর পরিচিতি কোনওটাতেই কম বা বেশি নয়, বরং তিন ক্ষেত্রেই অবাধ বিচরণে তাঁর স্বাচ্ছন্দ্য। ১৯৬৫ সনের পঁচিশে জুলাই বহরমপুরে এক শিক্ষাবিদের পরিবারে জন্ম এই চিকিৎসক লেখকের বংশ পরম্পরায় শিক্ষকতা ও সাহিত্যচর্চার ইতিহাস আছে, সুতরাং তাঁর সাহিত্যক্ষেত্রে জিনের প্রভাবও খানিক থাকা স্বাভাবিক। বিভিন্ন পরিচিত পত্রপত্রিকায় লেখা ছাড়াও এখনও পর্যন্ত ছোট বড় প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত তাঁর বইয়ের সংখ্যাও বিশেষ কম নয়, যার মধ্যে নিখাদ সাহিত্য যেমন আছে, তেমন আছে শিশু স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বই। বাৎসল্যবিধি নামক অভিভাবকত্ব সংক্রান্ত তাঁর এই নবতম প্রয়াস শিশুর অভিভাবকদের জন্য সহজ বাংলায় সহজ ভাবে লেখা। বাঙালির মাতৃভাষায় এমন বই খুব বেশি নেই তা'ই শুধু নয়, সঙ্গে এ নিয়েও কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই যে তাঁর এই প্রয়াস নিশ্চিতভাবে অভিভাবকদের কাজে আসবে।

You might like these