আর্যভটের পুথি
Product details
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য
হার্ডবাউন্ড
১৫১ পাতা
জয়ঢাক প্রকাশন
অঙ্ক - শব্দটা আমাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কেউ ভয় পেয়ে পালাই, আবার কেউ ভালোবেসে আপন করে নিই। আসলে কথায় আছে কোনো বিষয়কে ভালোবাসলে সেও পাল্টা সোহাগ ফিরিয়ে দেয়। তবে বিষয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জন্মানোর কাজটা অনেক সময় সহজ করে দেন শিক্ষকরা। ব্যক্তিগতভাবে এমন একজন প্রণম্য শিক্ষকের সংস্পর্শে এসে আমি অঙ্ককে ভালোবাসতে শুরু করেছিলাম, ঘুচে গিয়েছিল আমার বহুদিনের অঙ্কভীতি। আসলে তিনি জটিল সমীকরণ আর উপপাদ্যকে গল্পের আকারে বোঝাতে জানতেন। টেরই পেতাম না কখন খেলার ছলে কঠিন সব অঙ্কের সমাধান করতে শিখে গেছি। ম্যাথ একটা অ্যাডভেঞ্চারই বটে। এও তো এক আশ্চর্য ভাষাশিক্ষা, যার নাম গণিত। আজ থেকে চার হাজার বছর আগে ভারতে শুরু হয়েছিল সেই রোমাঞ্চকর ম্যাথভেঞ্চার। সুলেখক ও গবেষক শ্রী দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের হাত ধরে সেই ঐতিহাসিক সফর করে এলাম 'আর্যভটের পুথি'-তে চেপে।
সহজ সরল শব্দের বুননে লেখক এখানে শিখিয়েছেন গুণতে শেখার ম্যাজিক। সিন্ধু উপত্যকা ও আর্যযুগের গণিতের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়েছেন। উঠে এসেছে শূল্বসূত্রের কথা, পাণিনি ও কম্পিউটার প্রোগ্রামিংকে একাত্ম করে দিয়েছেন, এসেছে জৈন গণিতবিদ্যার প্রসঙ্গ, বাকশালির পুথির উল্লেখ, ভারতে অঙ্কের স্বর্ণযুগ, পাই কাহিনী, ফিবোনাচির অদ্ভুত জগৎ, কলনবিদ্যার জন্ম, এবং পরিশেষে অঙ্কের বিদেশযাত্রা।
মনোরম এই যাত্রাপথে লেখক বিভিন্ন বয়সের ছাত্রদের অঙ্ক শিখিয়েছেন, তবে নানা ছবি ও উপমার আশ্রয়ে তা হয়ে উঠেছে মনোগ্রাহী। শুধুমাত্র আর্যভট নয়, অঙ্কের প্রায় সকল ইন্ডিয়ান আইডলের সঙ্গে আলাপ করিয়েছেন তিনি। তাঁদের যুগান্তকারী চিন্তা ও আবিষ্কারের কথা জেনেছি। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হলে বইটির জুড়ি মেলা ভার। ইচ্ছুক পাঠকদের জন্য আরো কিছু বইয়ের নাম রয়েছে শেষের দিকে যার মাধ্যমে এই বিষয়ে জ্ঞানার্জন চালু রাখা যাবে।
ছিমছাম হার্ডকভার আর ছোটখাট সাইজের বইয়ের প্রতি আমার বরাবরের লোভ। সঙ্গে এমন সুন্দর বিষয় থাকলে তো আর কথাই নেই। অঙ্কের সূত্র বর্ণনায় ক,খ,গ-এর উল্লেখ কিছুটা অসুবিধা সৃষ্টি করেছিল অবশ্য। A,B,C,X,Y,Z এ অভ্যস্ত বাঙালিকে এইটুকু মানিয়ে নিতে হবে।
Product details
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য
হার্ডবাউন্ড
১৫১ পাতা
জয়ঢাক প্রকাশন
অঙ্ক - শব্দটা আমাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কেউ ভয় পেয়ে পালাই, আবার কেউ ভালোবেসে আপন করে নিই। আসলে কথায় আছে কোনো বিষয়কে ভালোবাসলে সেও পাল্টা সোহাগ ফিরিয়ে দেয়। তবে বিষয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জন্মানোর কাজটা অনেক সময় সহজ করে দেন শিক্ষকরা। ব্যক্তিগতভাবে এমন একজন প্রণম্য শিক্ষকের সংস্পর্শে এসে আমি অঙ্ককে ভালোবাসতে শুরু করেছিলাম, ঘুচে গিয়েছিল আমার বহুদিনের অঙ্কভীতি। আসলে তিনি জটিল সমীকরণ আর উপপাদ্যকে গল্পের আকারে বোঝাতে জানতেন। টেরই পেতাম না কখন খেলার ছলে কঠিন সব অঙ্কের সমাধান করতে শিখে গেছি। ম্যাথ একটা অ্যাডভেঞ্চারই বটে। এও তো এক আশ্চর্য ভাষাশিক্ষা, যার নাম গণিত। আজ থেকে চার হাজার বছর আগে ভারতে শুরু হয়েছিল সেই রোমাঞ্চকর ম্যাথভেঞ্চার। সুলেখক ও গবেষক শ্রী দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের হাত ধরে সেই ঐতিহাসিক সফর করে এলাম 'আর্যভটের পুথি'-তে চেপে।
সহজ সরল শব্দের বুননে লেখক এখানে শিখিয়েছেন গুণতে শেখার ম্যাজিক। সিন্ধু উপত্যকা ও আর্যযুগের গণিতের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়েছেন। উঠে এসেছে শূল্বসূত্রের কথা, পাণিনি ও কম্পিউটার প্রোগ্রামিংকে একাত্ম করে দিয়েছেন, এসেছে জৈন গণিতবিদ্যার প্রসঙ্গ, বাকশালির পুথির উল্লেখ, ভারতে অঙ্কের স্বর্ণযুগ, পাই কাহিনী, ফিবোনাচির অদ্ভুত জগৎ, কলনবিদ্যার জন্ম, এবং পরিশেষে অঙ্কের বিদেশযাত্রা।
মনোরম এই যাত্রাপথে লেখক বিভিন্ন বয়সের ছাত্রদের অঙ্ক শিখিয়েছেন, তবে নানা ছবি ও উপমার আশ্রয়ে তা হয়ে উঠেছে মনোগ্রাহী। শুধুমাত্র আর্যভট নয়, অঙ্কের প্রায় সকল ইন্ডিয়ান আইডলের সঙ্গে আলাপ করিয়েছেন তিনি। তাঁদের যুগান্তকারী চিন্তা ও আবিষ্কারের কথা জেনেছি। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হলে বইটির জুড়ি মেলা ভার। ইচ্ছুক পাঠকদের জন্য আরো কিছু বইয়ের নাম রয়েছে শেষের দিকে যার মাধ্যমে এই বিষয়ে জ্ঞানার্জন চালু রাখা যাবে।
ছিমছাম হার্ডকভার আর ছোটখাট সাইজের বইয়ের প্রতি আমার বরাবরের লোভ। সঙ্গে এমন সুন্দর বিষয় থাকলে তো আর কথাই নেই। অঙ্কের সূত্র বর্ণনায় ক,খ,গ-এর উল্লেখ কিছুটা অসুবিধা সৃষ্টি করেছিল অবশ্য। A,B,C,X,Y,Z এ অভ্যস্ত বাঙালিকে এইটুকু মানিয়ে নিতে হবে।
Sort by
Newest first
Newest first
Oldest first
Highest rated
Lowest rated
Ratings
All ratings
All ratings
5 Stars
4 Stars
3 Stars
2 Stars
1 Star